অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই মাসের মতো সময় পার হতে শুরু করেছে। ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনপরবর্তী অস্থির এক অবস্থায় সরকারের দায়িত্ব নেবার পর এই দুই মাসে প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ অনেকখানি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বারবার বন্যা পরিস্থিতি ও উসকানিমূলক অস্থিরতা সৃষ্টির মোকাবেলা করতে হয়েছে সরকারকে। আগের সরকারের সাজানো কাঠামোর মধ্যে প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেও পরিবর্তনের ভিত্তি এর মধ্যে তৈরি করতে পেরেছে সরকার। সরকারের মূল যে সংস্কার কাজ সেটি এর মধ্যে শুরু হয়েছে এ সংক্রান্ত কমিশনগুলোর প্রজ্ঞাপন জারির মধ্য দিয়ে। বিচার বিভাগসংক্রান্ত কমিশন এর মধ্যে তার প্রথম বৈঠক করে ফেলেছে। অন্য কমিশনগুলোও কাজ শুরু করতে যাচ্ছে।
এ সময়ে সরকারের দৈনন্দিন কার্যক্রমে বড় চ্যালেঞ্জ হিসাবে এসেছে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ। ইসরাইল-ইরান যুদ্ধ বিস্তৃত হলে তা জ্বালানি তেলের সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে। দাম বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা আছে। ইউক্রেন যুদ্ধের মতোই এটি বিশ্ব মূল্য পরিস্থিতি অস্থির করতে পারে। একই সাথে দেশের অভ্যন্তরে বারবার বন্যার মতো দুর্যোগে উৎপাদন ও সরবরাহ শৃঙ্খল ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সাম্প্রতিক প্রবণতা
গত এক মাসে দেশের কয়েকটি অঞ্চলে বন্যার কারণে অভ্যন্তরীণ পণ্য সরবরাহ বেশ বিঘিœত হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বেশ কিছু নিত্যপণ্যের দামে। গত ৭ অক্টোবরের টিসিবির হিসাব অনুসারে সব ধরনের চালের দাম এক বছর আগের তুলনায় ৭ থেকে সাড়ে ৯ শতাংশ বেড়েছে। একই সময়ে আটা ও সয়াবিন তেলের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও পেঁয়াজ রসুন আদাসহ বিভিন্ন মসলার দাম বৃদ্ধির প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। ডিম মুরগি ও দুগ্ধসামগ্রীর দাম বাড়ছে। সামগ্রিকভাবে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও তা ১০ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।
সেবা খাতের মধ্যে বিদ্যুতের সরবরাহে অবনতি না ঘটলেও উৎপাদন পুরোপুরি টেকসই হয়নি। ৬ অক্টোবর ২০২৪ বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল ১২ হাজার ১৮৮ মেগাওয়াট, যেদিন সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল ১৩ হাজার ৯২৮ মেগাওয়াট। চাহিদা ও সরবরাহে ১৮০০ মেগাওয়াটের মতো ব্যবধানে ভারসাম্য আনতে হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রাথমিক জ্বালানির সংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন ডলার।
ডলার সঙ্কটের ফলে কয়লা ও গ্যাসের সরবরাহ প্রয়োজন অনুপাতে না থাকায় কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। সরকার আগের আমলের অন্যায্যভাবে নেয়া ব্যয়বহুল বিদ্যুৎ প্রকল্প বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি কার্যকর করা গেলে সাশ্রয় হওয়া অর্থে বিদ্যুতের প্রাথমিক জ্বালানি সংগ্রহ করা যাবে।
গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য অনুসন্ধান ও স্থানীয়ভাবে উত্তোলনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাশ্রয়ী মূল্যে গ্যাস পেতে হলে স্থানীয়ভাবে গ্যাস উৎপাদনের বিকল্প নেই। এসব বিষয় দীর্ঘমেয়াদি নীতি-উদ্যোগের সাথে যুক্ত হলেও সরকার চাইলে কিছু ক্ষেত্রে জরুরি পদক্ষেপ নিতে পারে। এই পদক্ষেপ গ্রহণ বিশেষভাবে জরুরি বৈশ্বিকভাবে জ্বালানি সরবরাহে ঘাটতি সৃষ্টির ব্যাপক আশঙ্কার কারণে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূসের জাতিসঙ্ঘ সফরে আশাতীত সাড়া পাওয়া গেছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে স্বাগত জানিয়েছে। ডলার সঙ্কট নিরসনের আগ পর্যন্ত জ্বালানি তেলের মূল্য পরিশোধে আশু চাপ মোকাবেলায় বিলম্বে মূল্য পরিশোধের একটি অবকাশের জন্য সৌদি আরব, কাতার ও কুয়েতের সাথে আলোচনা করা যেতে পারে। বলার অপেক্ষা রাখে না, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন রাখা সরকারের পক্ষে ব্যাপক জনসমর্থন অব্যাহত রাখার জন্য জরুরি।
সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখা
নিত্যপণ্যের মধ্যে অতিপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী আমদানিতে দেশে এক ধরনের সিন্ডিকেট তৈরি হয়েছিল গত দেড় দশকে। সরকারের আনুক‚ল্যপ্রাপ্ত সিন্ডিকেটটির ব্যাংক অর্থায়ন ও বাজার নেটওয়ার্কের ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল। তারা নির্দিষ্ট পণ্যের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ নিয়ে যখন তখন দাম বাড়িয়ে দিতে পারত। এতে কোনো কোনো পণ্যের দাম দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় দেড় থেকে ˜িগুণ পর্যন্ত বেশি দেখা যায়। চিনির ওপর যে শুল্কভার রয়েছে তাতে এর দাম প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১১০ টাকা হওয়ার কথা। কিন্তু বাজারে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে চিনি। বর্তমান সরকার দায়িত্বে আসার পর চিনির দাম এর মধ্যে বেশ কমেছে। সিন্ডিকেটমুক্ত পরিবেশে ব্যবসায়ীদের প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা গেলে এটা আরো কমানো সম্ভব।
দেশের বাজারে ভোজ্যতেল, ডাল, আটা, পেঁয়াজ, রসুনের যে দাম, তার সাথে বিশ্ববাজারের মূল্য পুরোপুরি মেলে না। এ ক্ষেত্রে আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতিকে দায়ী করা হয়। এর আগে পণ্য আমদানির এলসি করার জন্য ডলারের সরবরাহ এস আলমসহ হাতেগোনা কিছু ব্যাংক মালিকের জন্য অনেকটা সংরক্ষিত ছিল। ব্যাংকগুলো চাইলেও অন্য আমদানিকারকদের জন্য ডলারের সরবরাহ নিশ্চিত করতে পারত না। এখন সে বাধা আর নেই। তবে ব্যাংক ব্যবস্থায় ব্যাপক লুটপাটের কারণে ব্যবসায়ীদের সমর্থন দেয়ার মতো সক্ষমতা কিছুটা কমে গেছে।
অতিসাম্প্রতিক সময়ে রেমিট্যান্স ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি এবং আইএমএফ বিশ্বব্যাংক ও উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তার ব্যাপক প্রতিশ্রুতিতে ডলার সঙ্কট ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বাংলাদেশ ব্যাংক নিত্যপণ্যের আমদানির এলসি মার্জিনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করার বিষয় বিবেচনা করতে পারে। এটি ঠিক যে, বড় ব্যবসায়ী বা আমদানিকারকরা সরকার বা নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রভাব থেকে মুক্ত হয়ে ব্যবসা করতে পারেন না। এ কারণে সব ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকের পতিত সরকারের সহযোগী ধরে নেয়ার প্রবণতা বাদ দিয়ে নির্দিষ্টভাবে যারা ব্যাংক লুট করে বৈদেশিক বাণিজ্য করায়ত্তের মাধ্যমে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে তাদের আলাদাভাবে চিহ্নিত করতে হবে। ব্যবসায়ীদের পণ্য আমদানি ও সরবরাহে ন্যায্যতা অনুসরণে উৎসাহিত করতে হবে।
সরবরাহ শৃঙ্খল বজায় রাখা ছাড়া নিত্যপণের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার বিকল্প পথ নেই। এ ক্ষেত্রে ব্যাংক খাতকে যথাসম্ভব সচল রাখতে হবে। বিগত সরকার ব্যাংক খাতকে লুটপাট করে এমন অবস্থায় ঠেকিয়েছে যাতে সরকার চাইলেও তাতে রাতারাতি প্রাণ সঞ্চার করতে পারবে না। তবে লুট ও অনিয়ম বন্ধ হওয়ায় এর মধ্যে কিছু ব্যাংক সচল হতে শুরু করেছে। রুগ্ণ হয়ে পড়া ব্যাংকগুলোকে জবাবদিহির মুখোমুখি করতে গিয়ে ব্যবসার রাশ টেনে ধরলে এগুলো ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংকের মালিকানা মাফিয়ামুক্ত করে আগের মালিকদের কাছে ফিরিয়ে দেয়া ও সুশাসন নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নিয়েছে।
এর পাশাপাশি যে ফর্মেই সম্ভব জরুরি আর্থিক সহায়তা কিছু সময়ের জন্য বজায় রাখা ছাড়া ব্যাংক খাতকে টেনে তোলা কঠিন হবে। সংস্কারের আওতায় একীভূতকরণের উদ্যোগ বাস্তবায়নের আগে ‘ব্যাংক টাকা দিতে পারছে না’ ধরনের আতঙ্ক যাতে সৃষ্টি না হয় সে পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে তা করতে হবে নিয়ম ও স্বচ্ছতার মধ্যে থেকে। ব্যাংক খাতকে কার্যকর রাখা না গেলে এর প্রভাব অনিবার্যভাবে কর্মসংস্থানে পড়বে। একই সাথে সাধারণ মানুষের আওতার মধ্যে জিনিসপত্রের দাম রাখা যাবে না।
মনিটরিং কার্যকর করা
বাংলাদেশের বাজার মনিটরিংয়ের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য ক্ষেত্রে কম বেশি রয়েছে। তবে সেটি কতটা কার্যকর তা নিয়ে আছে প্রশ্ন। পণ্যমূল্য ন্যায্যপর্যায়ে রাখার ক্ষেত্রে কিছু ফ্যাক্টরের ওপর সরকারের তেমন নিয়ন্ত্রণ নেই। বিশেষত আমদানিনির্ভর পণ্যের দাম বিশ্ববাজারে বেড়ে গেলে স্থানীয়ভাবে তার প্রভাব এড়ানো কঠিন। তবে কিছু পণ্য এমন রয়েছে যেগুলো মৌসুমের ওপর নির্ভরশীল এবং একাধিক উৎস থেকে সংগ্রহ করা যায়।
বাস্তবতা হলো বাজারে চাহিদা কত, সরবরাহ কত, উৎপাদন কত, আমদানি কতটুকু করতে হবে এবং সেটা কোন সময়ে করতে হবে, সেই আমদানিটা উন্মুক্তভাবে হচ্ছে কি না- এসব তথ্যের ভিত্তিতে বেশির ভাগ সময়েই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় না। যথেচ্ছভাবে সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি ঠেকানো যায় না।
অভ্যন্তরীণ চাহিদা সামনে রেখে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। প্রাকৃতিক বা অন্য কোনো কারণে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যাহত হলে টিসিবির মতো সরকারি সংস্থার মাধ্যমে প্রয়োজনে জরুরি আমদানির পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে। দেশের অভ্যন্তরে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয় সেগুলোর উৎপাদন ও সরবরাহের প্রতিও নজর রাখা দরকার। শুধু ধান চালই নয় বাংলাদেশে আলুর মতো পণ্য বেশি উৎপাদন হলে তার দাম এতটা কমে যায় যে উৎপাদনমূল্য উঠানো যায় না। এর ফলে পরের বছর কৃষকরা তা আর ফলায় না। আর সে বছর এর দাম বেড়ে যায়। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম মূল্য প্রটেকশনদানের একটি প্রক্রিয়া বের করা সম্ভব হলে কৃষকরা এই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে পারে।
এ ছাড়া উচ্চফলনশীল এবং স্বল্প সময়ে উৎপাদনের ফসলের জাত কৃষকদের কাছে পৌঁছানো গেলে অনেক পণ্যের সঙ্কট থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের উদ্যোগ নেয়ায় পেঁয়াজসহ বেশ কিছু কৃষি পণ্য দেশে অধিক উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি পরিকল্পিতভাবে বীজ ও প্রযুক্তি কৃষকপর্যায়ে পৌঁছানো গেলে তার সুফলও পাওয়া যেতে পারে।
উপকরণ সরবরাহ ও মধ্যস্বত্বের সমস্যা
কৃষি উৎপাদনের উপকরণ সরবরাহ, বিশেষত সার, কীটনাশক এবং সেচের বিদ্যুৎ সরবরাহে সঙ্কটের কারণে এর আগে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা গেছে। এবার কৃষি উপকরণ সরবরাহ যাতে ব্যাংকের সমর্থন বা ডলার সঙ্কটের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এসবের সাশ্রয়ী উৎস দেশগুলোর সাথে যথাসম্ভব সুসম্পর্ক নিশ্চিত করে এর সরবরাহ পাওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।
বাংলাদেশে বাজারব্যবস্থার বিকৃতির একটি কারণ হলো মধ্যস্বত্বভোগীদের অতিমুনাফা। আগের সরকারের সময় ব্যাংকের অর্থায়ন একটি আনুক‚ল্যপ্রাপ্ত ছোট গোষ্ঠীর হাতে চলে যাওয়ার কারণে চাল গমের ব্যবসা তাদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ধানের মৌসুমের সময় অন্য ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে ঋণ পেত না, আর তথাকথিত ব্যাংক মালিক ব্যবসায়ীরা ব্যাংকের তহবিল নিজেরা গ্রহণ করে ধান চালের মজুদ ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করত। এরপর ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে কমিয়ে অন্যায়ভাবে অর্থ উপার্জন করত। এতে কৃষকরা কম দাম পেত আর ভোক্তাদের অধিক মূল্য দিতে হতো। এর মাঝখানে সুবিধা চলে যেত এস আলমের মতো মধ্যস্বত্বভোগী বড় ব্যবসায়ীদের হাতে।
এই অবস্থায় এখন শুধু ব্যক্তি পরিবর্তন নয় বাজারব্যবস্থায় এ ধরনের নিয়ন্ত্রণ ভেঙে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সহায়তা পেতে হলে বাণিজ্য সংগঠনগুলোতে সংস্কার এনে সেগুলো সক্রিয় করতে হবে। দীর্ঘ সময় বাণিজ্য সংগঠনের পরিচালনা প্রশাসকের অধীনে থাকায় এগুলো অকার্যকর হয়ে আছে।
ডলারের বিপরীতে টাকার স্থিতি
২০২২ সাল থেকে মার্কিন ডলারের বিপরীতে দফায় দফায় টাকার অবমূল্যায়ন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল স্ট্যাবিলিটি রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে ১৩.৩ শতাংশ। আর ২০২৩ সালের ১৪ আগস্ট এসে ডলারের দাম সাড়ে ৫ শতাংশের মতো বাড়ানো হয়। এতে করে আমদানি কমলেও মূল্যস্ফীতির লাগাম টানা যাচ্ছে না। ডলার সঙ্কটের কারণে বাজার সচল রাখার জন্য যেভাবে এলসি খোলার মাধ্যমে আমদানি করা হয়, সেটিও এখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ডলারের দামে যাতে নতুন করে অস্থিরতা তৈরি না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। ডলারের দাম বৃদ্ধি শেষ পর্যন্ত দেশী-বিদেশী সবকিছুর খরচকে বাড়িয়ে তোলে, যার প্রভাব পড়ে জীবনযাত্রার সামগ্রিক ব্যয়ের ওপর।