বাংলাদেশের বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রপ্রধান, আর প্রধানমন্ত্রী সরকারপ্রধান। সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে- রাষ্ট্রপ্রধানরূপে রাষ্ট্রপতি অন্য সব ব্যক্তির ঊর্ধ্বে স্থান লাভ করবেন। সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে কোনো নির্বাহী ক্ষমতা দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতি নিয়োগ ব্যতীত রাষ্ট্রপতিকে তার অন্য সব দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী পালন করতে হয়। সরকারপ্রধানরূপে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বা তার কর্তৃত্বে সংবিধান অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের নির্বাহী ক্ষমতা প্রযুক্ত হয়।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর গত ৫ আগস্ট ২০২৪ ভারতে পলায়নের অব্যবহিত পর রাষ্ট্রপতি জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। তিনি তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মানবজমিন পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন জনতার চোখে সাক্ষাৎকার দেয়ার সময় প্রসঙ্গত উল্লেখ করেছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ বিষয়ে তার দফতরে দালিলিক প্রমাণ নেই। রাষ্ট্রপতির বক্তব্যটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে নতুনভাবে বিতর্ক দেখা দিলে রাষ্ট্রপতির কার্যালয় বঙ্গভবন থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ একটি মীমাংসিত বিষয় এবং এ নিয়ে নতুন করে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার বর্তমান সংবিধানের অধীন রাষ্ট্রপতি দ্বারা পরিচালিত শপথের মাধ্যমে দায়িত্বভার গ্রহণ করে। শপথ গ্রহণকালীন প্রধান উপদেষ্টা ও তার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা অপরাপর বিষয়ের পাশাপাশি স্পষ্টত ব্যক্ত করেন যে, তারা সংবিধানের রক্ষণ, সমর্থন ও নিরাপত্তা বিধান করবেন। কথাটি অনস্বীকার্য যে, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারটি ছাত্র-জনতার বিপ্লব-পরবর্তী জন-আকাঙ্ক্ষায় দায়িত্বভার গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী-পরবর্তী সংবিধানে ৭ক ও ৭খ অনুচ্ছেদদ্বয়ের সন্নিবেশন এবং ১৫০ অনুচ্ছেদের সংশোধন-পরবর্তী নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দলীয় সরকারকে অপসারণের সব পথ রুদ্ধ করে দেয়া হয়েছিল। যেমনটি করা হয়েছিল সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী-পরবর্তী একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।
পতিত আওয়ামী লীগ সরকার নবম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন হয়। নবম সংসদ নির্বাচনটি সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান যদিও একদা ঘোষণা করেছিলেন, সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার তাদের আন্দোলনের ফসল। এ সরকারের কার্যকলাপকে তারা বৈধতা দান করবেন; কিন্তু পরবর্তী সময়ে তিনি তার ঘোষিত অবস্থান থেকে বিচ্যুত হয়ে সংসদ কর্তৃক তার দলের পক্ষে বৈধতা দেয়ার সুযোগ থাকা সত্তে¡ও বিরত থাকেন।
সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারটি সংসদ কর্তৃক বৈধতাপ্রাপ্ত না হওয়ায় সামগ্রিক বিবেচনায় এটি একটি অবৈধ সরকার। এ কারণে অবৈধ সরকার কর্তৃক পরিচালিত নির্বাচনকে বৈধ বলার সুযোগ নেই। বিদায়ী আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতায় আরোহণের ভিত ছিল সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পরিচালিত নির্বাচন। নির্বাচনটি অবৈধ হয়ে থাকলে এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তী যে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেগুলো বৈধ হিসেবে আখ্যা দেয়ার সুযোগ আছে কি?
সংবিধান ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনবিষয়ক আইন গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর বিধানাবলি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, তিনটি (দশম, একাদশ ও দ্বাদশ) নির্বাচনের প্রথমোক্তটিতে সংসদ গঠনবিষয়ক সংবিধানের সুস্পষ্ট বিধানের অবজ্ঞায় ১৫৪ আসনের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া, দ্বিতীয়টিতে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২-এর সুনির্দিষ্ট বিধানের উপেক্ষায় দিনের ভোট রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া এবং তৃতীয়টিতে ক্ষমতাসীন বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক তার দলের প্রার্থী এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অবতীর্ণ প্রার্থী নির্ধারিত হওয়ায় এ নির্বাচনগুলো সংবিধান ও আইনের বিধিবিধানের আলোকে অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন দাবির যৌক্তিকতা কোথায়?
এই তিন নির্বাচনের বেশির ভাগ আসনে ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের নিম্নে হলেও ক্ষমতাসীন দলের অনুগত নির্বাচন কমিশন সরকারের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতির হার বহুলাংশে স্ফীত দেখিয়েছে, যা এ দেশের সচেতন দেশবাসীর কাছে এবং আন্তর্জাতিক মহলে আমাদের পাশের ভারত ব্যতীত অপর কোনো দেশের পর্যবেক্ষকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।
উপরোল্লিখিত চারটি নির্বাচনের ঘটনাপ্রবাহ বিশ্লেষণে স্পষ্টত প্রতিভাত যে, ধারাবাহিক এবং সংবিধান ও আইনের বিধানাবলির ব্যত্যয়ে গঠিত অবৈধ সরকারের অবসানে ছাত্র-জনতার বিপ্লব-উত্তর জন-আকাক্সক্ষায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন যে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে; সাড়ে ১৫ বছর জগদ্দল পাথরের মতো বসে থাকা অবৈধ সরকারকে বৈধ পন্থায় অবসানের সব পথ রুদ্ধ থাকায় প্রয়োজনীয়তার মতবাদ অনুযায়ী সংবিধান ও আইন উভয়ের দৃষ্টিকোণ থেকে সে অন্তর্বর্তী সরকারটি আপাত সিদ্ধ; তবে এটিকে পূর্ণ সিদ্ধতা দিতে হলে আগামী এয়োদশ সংসদ নির্বাচন-পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার আবশ্যকতাসহ তদপূর্ববর্তী গণভোটের মাধ্যমে জন-অনুমোদন গ্রহণও অত্যাবশ্যক।
আমাদের বিদ্যমান সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হন। বর্তমান রাষ্ট্রপতি অধস্তন বিচার বিভাগের বিচারকের চাকরিতে আগমনের আগে আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় রাজনীতি এবং অবসরপরবর্তী আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। আওয়ামী দলীয় রাজনীতির প্রতি একান্ত অনুগত ও বাধ্যগত এ বিবেচনায় তাকে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী তার একক ইচ্ছায় রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেন। মনোনয়-পরবর্তী তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এবং অন্য কোনো প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী না থাকায় আনুষ্ঠানিক ভোট গ্রহণ ব্যতিরেকে তিনি (মো: সাহাবুদ্দিন) রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হয়ে শপথগ্রহণ পরবর্তী পদে আসীন হন।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিকে পদে আসীন-পূর্ববর্তী যে শপথবাক্য পাঠ করতে হয় তাতে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি সুস্পষ্টরূপে ব্যক্ত করতে হয় যে, তিনি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করবেন। বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রপতিকে একমাত্র বয়সের ব্যতিক্রম ছাড়া সংসদ সদস্যদের জন্য অত্যাবশ্যক যোগ্যতার অধিকারী হতে হয়। সংসদ সদস্যদের জন্য দ্বৈত নাগরিক হলে পদে বহাল থাকার পথ রুদ্ধ, যা সমভাবে রাষ্ট্রপতির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, বর্তমান রাষ্ট্রপতির বাংলাদেশ ছাড়াও অপর দু’টি দেশের নাগরিকত্ব রয়েছে। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি স্বয়ং বা রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে সংবাদটি সঠিক নয় এমন কোনো বক্তব্য বা বিবৃতি না দেয়ায় সংবাদটি যথার্থ নয় এমন ধারণা পোষণ অমূলক।
বর্তমান রাষ্ট্রপতি, রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হওয়ার আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার পদে একটি পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনে সুস্পষ্টরূপে উল্লেখ রয়েছে- কর্মাবসানের পর কোনো কমিশনার প্রজাতন্ত্রের কার্যে কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না। রাষ্ট্রপতির পদ যে প্রজাতন্ত্রের লাভজনক পদ এ বিষয়ে কোনো বিতর্ক নেই। দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের মতো সংবিধানেও উল্লেখ রয়েছে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারক অবসর-পরবর্তী বিচারিক বা আধা-বিচারিক পদ ছাড়া প্রজাতন্ত্রের কোনো লাভজনক পদে নিয়োগ লাভের অযোগ্য। অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমেদ ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ কর্তৃক রাষ্ট্রপতি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে কার্য পরিচালনাকালীন তিনি সাংবিধানিকভাবে নিয়োগ লাভের অযোগ্য এ দাবি উত্থাপনপূর্বক রিট মামলা দায়ের হলে এটি নির্বাচিত পদ এ ব্যাখ্যা প্রদানপূর্বক সাংবিধানিক অক্ষমতার দায় থেকে অবমুক্তি দেয়া হয়, যদিও সংবিধানে নির্বাচিত ও নিয়োগকৃত পদ উল্লেখপূর্বক কোনো বিভাজন সৃষ্টি করা হয়নি।
বিদ্যমান সংবিধানের বিধান মতে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের কর্মাবসানের পর তাদের উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত তারা স্বীয় পদে বহাল থাকেন।
রাষ্ট্রপতিকে পদে বহাল থাকাকালীন স্পিকারের উদ্দেশে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপতিকে যে সংসদ নিয়োগ দান করেছিল সে সংসদটিকে রাষ্ট্রপতি স্বয়ং ভেঙে দিয়েছেন। সংসদ ভেঙে গেলেও পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানপরবর্তী স্পিকার কার্যভার গ্রহণ করা না পর্যন্ত আগেকার স্পিকার বহাল থাকেন। তিনি নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। বর্তমান স্পিকারের পক্ষ থেকে যদিও দাবি করা হয়েছে, তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু সাংবিধানিকভাবে তার এ পদত্যাগপত্র বৈধ না হয়ে থাকলে সে ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতিকে যদি কোনো কারণে তার পদ ছেড়ে চলে যেতে হয় এমতাবস্থায় স্পিকারের রাষ্ট্রপতি পদের দায়িত্ব গ্রহণে বাধা কোথায়। তা ছাড়া জন-আকাক্সক্ষা এবং বর্তমান জন-আকাক্সক্ষার সাথে যেসব রাজনৈতিক দলের সহাবস্থান এদের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে যদি রাষ্ট্রপতিকে পদ ছেড়ে চলে যেতে বলা হয় সে ক্ষেত্রে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকালীন যে পন্থায় সুপ্রিম কোর্টের মতামত নেয়া হয়েছিল একই পন্থা অবলম্বনে কার্যটি সমাধা করার সুযোগ রয়েছে। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রধানমন্ত্রী বিধিবহিভর্‚ত পন্থায় পলায়ন করলে এবং পলায়ন-পরবর্তী অন্য কেউ তার পদে স্থলাভিষিক্ত হলে সে ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণের বিষয়টি আপাত দৃষ্টিতে অপ্রাসঙ্গিক প্রতীয়মান হয়।
সরকার পরিচালনায় সংসদের অনুপস্থিতিতে প্রায়ই অধ্যাদেশ জারির আবশ্যকতা দেখা দেয়। অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি যথাযথ কর্তৃপক্ষ। রাষ্ট্রপতি পদের শূন্যতায় অধ্যাদেশ জারির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা থাকায় এরূপ শূন্যতা সরকারের স্বাভাবিক কার্য পরিচালনায় বাধা হিসেবে দেখা দেয়। এ কারণে এই পদটিতে শূন্যতা অবশ্যই পরিহার্য।
রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের একমাত্র সাংবিধানিক পদ্ধতি হলো সংসদীয় অভিসংশন। সংসদের অনুপস্থিতিতে এ পন্থায় অপসারণের পথ রুদ্ধ হওয়ায় বিকল্প পন্থায় অপসারণ যে করা যাবে না, তা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা করা হয়েছে। সংবিধান ও আইন মানুষের জন্য। সংবিধান ও আইনের জন্য মানুষ নয়। তাই সংবিধান বা আইনে কী আছে বা নেই তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার মতবাদের আলোকে দেশ ও জাতির এবং সামগ্রিকভাবে দেশটিতে বসবাসরত মানুষের কল্যাণ ও মঙ্গলের জন্য কী ব্যবস্থা প্রয়োজন। সে ব্যবস্থাটি যখন জন-অভিপ্রায়ে গৃহীত তখন এটিকে পরবর্তী সময়ে বৈধতাদানের দায়িত্ব জন-অভিপ্রায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ওপর বর্তায়। আমাদের দেশে অতীতে জনপ্রতিনিধিরা এরূপ দায়িত্ব পালন করেছেন। সুতরাং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও মঙ্গলে পুনঃপ্রয়োজন হলে তারা এরূপ দায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হবেন না, এটি হোক আজ জাতির প্রত্যাশা।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: iktederahmed@yahoo.com