৩ অক্টোবর, ২০২৪

বিশ্বসভায় প্রফেসর ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’

অনলাইন ডেস্ক

বিশ্বসভায় প্রফেসর ইউনূসের ‘নতুন বাংলাদেশ’

16px
ড. আবদুল লতিফ মাসুম

এতদিন ধরে এ দেশটি ছিল ‘বন্দনার বাংলাদেশ’। যেকোনো সভায় কিংবা সংসদে নিরেট গ্রামে কিংবা ব্যস্ত নগরে কারণে-অকারণে ব্যক্তিবন্দনা দুরারোগ্য ব্যাধির মতো রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে অতি নিম্নমানে পৌঁছে দিয়েছিল। শাসকদলের সর্বাধিনায়ক থেকে শুরু করে তৃণমূলের আধা নেতা, পাতি নেতা ও ছাতি নেতারা বন্দনায় শুরু করতেন বক্তৃতা। যাত্রাগানের পালার মতো তারা প্রথমে বন্দনা করতেন তাদের বঙ্গবন্ধুকে। নানা আজব-গজব বিশেষণে বিশেষিত হতেন তিনি। এরপর সরকারপ্রধান ও দলীয়প্রধান বন্দনায় স্থান পেতেন। স্থান-কাল-পাত্রভেদে এই বন্দনা থেকে মন্ত্রী-এমপি এমনকি স্থানীয় শাসকরাও বাদ যেতেন না।

এই বন্দনার প্রচারে ও পোস্টারে পোস্টারে ভরে গিয়েছিল দেশ। এসব পোস্টারে ব্যক্তিপ্রচার নগ্নভাবে প্রকটিত ছিল। আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৯৯ নম্বর সদস্যও নেতাদের বন্দনা করে পোস্টার বের করত। বিগত ১৫ বছরে এসব প্রশংসা, প্রশস্তির প্লাবন দেখেছে বাংলাদেশ। ৫ আগস্টের লাখো-কোটি জনতার প্লাবন সেই প্রশস্তির পরাজয় লক্ষ করেছে। তিনি পলায়ন করেছেন। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যে প্রফেসর ইউনূসকে ছোট করার জন্য আওয়ামী সরকার ন্যক্কারজনক কাজ করেছে, আল্লাহ তাকে অনেক বড় করে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতায় আসীন করেছেন। প্রফেসর ইউনূস ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর বাংলাদেশের চতুর জনগোষ্ঠী আবার সেই প্রশংসা-প্রশস্তি শুরু করে। কয়েক দিনেই প্রফেসর ইউনূসের বন্দনায় ভরে যেতে থাকে পত্রিকাগুলো। বাদ যায়নি চ্যানেলগুলোও। দেয়ালেও পোস্টার দেখা গেল। প্রফেসর ইউনূস এই বন্দনায় খুশি না হয়ে নাখোশ হলেন। নির্দেশ এলো তার ছবি ব্যবহার করে বন্দনা করা যাবে না। বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এটি এক বিরল দৃষ্টান্ত। যেখানে শাসকরা বন্দনা শুনতে চান সেখানে তিনি বিপরীত কথা বললেন। গণমাধ্যমকে বললেন সমালোচনার জন্য।

প্রফেসর ইউনূস এখন ক্ষমতায়। তার প্রশংসা-প্রশস্তির অন্ত নেই। কিন্তু আমাদের কাছে দুঃখের, লজ্জার ও কষ্টের কথা এই যে, এই নন্দিত ইউনূসকে নিন্দিত করার জন্য আওয়ামী শাসকদের সাথে হাত মিলিয়েছিল এ দেশেরই তথাকথিত একদল বুদ্ধিজীবী। শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ইউনূস বিবৃতি ভিক্ষা করছেন। পৃথিবীর সেরা সেরা মানুষ যখন প্রফেসর ইউনূসের বিচারের নামে প্রহসনের প্রতিবাদ করেছিলেন, সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কথা বলেছিলেন। বিস্ময়ের ব্যাপার- বাংলাদেশের যেসব মানুষ ন্যায়ের কথা বলেন তারা এই অন্যায়ের শরিক হয়েছিলেন। তারা বিবৃতির পর বিবৃতি জাহির করছিলেন পত্রিকায় ও গণমাধ্যমে। অন্যায় মন্তব্য করছিলেন টকশোতে। তাদের কারো নামের আগে বিচারপতি, আইনজীবী, প্রফেসর, প্রকৌশলী ও চিকিৎসাবিদের লকব রয়েছে। কবি-সাহিত্যিক ও শিল্পী নামের রাজনৈতিক কলাকুশলীরাও পিছিয়ে ছিলেন না।

তখন বাংলাদেশের এক সাহসী জনগোষ্ঠী এর প্রতিবাদ করেছিল। তারা শাসকদলের নিপীড়নেরও শিকার হয়েছিলেন। একজন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেস্তনেস্ত হওয়ার কথা নিশ্চয়ই আপনাদের মনে আছে। এই কলামে এই লেখক স্বনামে নয়া দিগন্তের সৌজন্যে অনেকবার প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে সেই আপৎকালীন সময়ে কলমযুদ্ধ করেছে। ব্যক্তির সপক্ষে, অন্যায়ের বিপক্ষে কথা বলার বা লেখার যদি অধিকার আমাদের থাকে তাহলে ব্যক্তির বিপক্ষে বা অন্যায়ের প্রতিবাদে লেখারও অধিকার রয়েছে। প্রফেসর ইউনূস যদি ভুল করেন, অন্যায় করেন, নীতিচ্যুত হন তাহলে আমরা তার প্রশস্তি গাইব না। কিন্তু আমরা প্রশস্তি কৃপণ হবো না। বিগত দুই মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে তার নীতিগত সিদ্ধান্তগুলো অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তবে প্রয়োগিক ক্ষেত্রে এই জটিল ও কুটিল বাংলাদেশে সফলতা অর্জন বেশ কষ্টসাধ্য।
বন্দনা বা প্রশংসা যদি কারো প্রাপ্য হয় সেটি তাকে দিতেই হবে। এ ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমতাসীন রয়েছেন বলে আমরা বিমুখ হবো না। আমরা ক্ষমতার প্রশস্তি গাইব না; কিন্তু ন্যায্যতা ও যথার্থতার প্রশংসা করব। এ শিক্ষাও প্রফেসর ইউনূস থেকে। আমার মনে আছে, ২০০০ সালের শেষের দিকে তিনি এশিয়াটিক সোসাইটিতে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যের ওপর একটি বক্তৃতা করেন। সেখানে তিনি প্রসঙ্গক্রমে কাজের স্বীকৃতি প্রসঙ্গে উদারমনা হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, একটি মানুষ যদি একটি সামান্য ভালো কাজ করে তারও স্বীকৃতি প্রয়োজন। একটি পোস্টকার্ডেও তাকে প্রশংসা জ্ঞাপন করা যায়। সে ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা বিশ্বসভায় প্রফেসর ইউনূসের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করব। আকাশে চাঁদ উঠলে যেমন তাকে ছেঁড়া কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, তেমনি জাতিসঙ্ঘে প্রফেসর ইউনূসের ভ‚মিকা ছোট করে দেখার অবকাশ নেই। বাংলাদেশের বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে এত বড় গৌরব অর্জনের ঘটনা আর কখনোই ঘটেনি। গানের কলি যেমন- ‘সোনার হাতে সোনার কাঁকন-কে কার অলঙ্কার’ তেমনি করে বলা যায়, বাংলাদেশ প্রফেসর ইউনূসকে মহিমান্বিত করেছে। আবার প্রফেসর ইউনূস বাংলাদেশকে গৌরবান্বিত করেছেন।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে প্রথমবারের মতো জাতিসঙ্ঘের সাধারণ অধিবেশনে অংশ নিয়েছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এই সফরে তিনি বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সাথে বৈঠকও করেছেন। অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ১২টি দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং সাইডলাইনে ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকেও অংশ নেন। নানা কারণে প্রধান উপদেষ্টার এই সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা।

তারা বলছেন, নানা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশের একপ্রকার সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। এই সফরে সেই সঙ্কট অনেকটাই কেটেছে। বিশেষ করে গণতন্ত্র, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে বাংলাদেশের যে ভাবমর্যাদার সঙ্কট ছিল, এই সফরে সেটি কাটানোর চেষ্টা করা হয়েছে। সেই সাথে বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিও তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। একজন রাজনৈতিক বিশ্লেষকের মন্তব্য এরকম, ‘এই সফরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দেশের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা গেছে এবং তাদের কাছে আস্থার জায়গাটা তৈরি করা গেছে।’ এ ছাড়াও অর্থনৈতিক সংস্কারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রæতিসহ নানা কারণে এই সফরটিকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছেন রাজনীতিক বিশ্লেষকরা। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারতের সাথে বাংলাদেশের নতুন সরকারের একধরনের সম্পর্কের টানাপড়েন চলছিল। যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বাংলাদেশের একটি বৈঠকের সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল; কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়নি অজ্ঞাত কারণে। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিবেশী দু’টি দেশের সরকারপ্রধানের মধ্যে এই মুহূর্তে একটি বৈঠক হলে তাতে সম্পর্কে ইতিবাচক পরিবর্তন আসত। দায়িত্ব গ্রহণের প্রথমে এবং জাতিসঙ্ঘে প্রতিবেশীকে যে কূটনৈতিক ভাষায় প্রফেসর ইউনূস মোকাবেলা করেছেন তা অনন্য।
গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের পর মাত্র দেড় মাসের ব্যবধানে এবারে জাতিসঙ্ঘ অধিবেশনে যোগ দেয় বাংলাদেশ। জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়ে মাত্র চার দিনের এই সফরে বাংলাদেশের সরকারপ্রধান অধ্যাপক ইউনূসের বৈঠক হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোসহ ১২টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানের সাথে। এ ছাড়াও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট, আইএমএফের প্রেসিডেন্টসহ অধ্যাপক ইউনূস অংশ নিয়েছেন জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদসহ ৪০টি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অধ্যাপক ইউনূস এই সফরে বিভিন্ন ইস্যুতে যেসব মিটিং করেছেন তা বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় ছিল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একজন কূটনীতিক মন্তব্য করেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে বাংলাদেশ যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকগুলোতে অংশ নিয়েছে তার সবগুলোই এখনকার বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ও প্রয়োজনের আলোকে হয়েছে।’

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের অনেক সম্ভাবনাকে বাস্তবায়নের পথে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বলেও মনে করছেন কূটনীতিকরা। এ ছাড়া পররাষ্ট্রনীতি ক্ষেত্রে নতুন সমীকরণ ও নতুন সম্ভাবনার ক্ষেত্রে এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে বলে ক‚টনীতিক মহল আশা প্রকাশ করে।

প্রফেসর ইউনূসের জাতিসঙ্ঘ ভাষণ ইতোমধ্যে বৈশ্বিক পর্যায়ে সমাদৃত হয়েছে। বিশ্বনন্দিত ব্যক্তিত্ব প্রফেসর ইউনূস নোবেল জয়ের পর সারা বিশ্বেই বক্তৃতা করে খ্যাতি অর্জন করেছেন। তাই তার জাতিসঙ্ঘের বক্তব্য ঘিরে আগ্রহ ও কৌত‚হল থাকা স্বাভাবিক। তার ভাষণের মধ্য দিয়ে বিশ্বনেতারা একটি নতুন বিশ্ব গড়ার দিকনির্দেশনা পেয়েছেন। ৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে মুনসুন অভ্যুত্থান আখ্যা দিয়ে তিনি বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের মুক্তির জন্য এটিকে প্রেরণার উৎস হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। প্রদত্ত ভাষণে তিনি ফিলিস্তিনে গণহত্যা ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিশ্বের নানা সঙ্কট নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি তার প্রণীত ‘থ্রি জিরো তত্ত্ব’-শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য নেট কার্বন নিঃসরণ-অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।

কার্যত প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের জাতিসঙ্ঘ ভাষণ ছিল বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবময় ঘটনা। একটি উজ্জ্বল মাইলফলক। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মুক্তির জন্য তিনি যে অর্থনীতির উদ্ভাবন করেছেন, এখন সম্ভবত বিশ্ব দেখতে চায় রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে তিনি কী অবদান রাখেন। বিগত সরকারের আমলে পাশ্চাত্যের সাথে যে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছিল আশা করা যায়, প্রফেসর ইউনূসের এই সফর সে ক্ষেত্রে বরফ গলার কাজ করবে। জো বাইডেন সাথে তার আলিঙ্গনের আন্তরিকতা বুঝিয়ে দেয়- ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের সম্পর্কের নিবিড়তা। মনে পড়ে যায় আওয়ামী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনার দৌড়ে গিয়ে জো বাইডেনের সাথে তার সেলফি তোলার কৃতিত্বের কথা। সামান্য সেলফি তোলাকে আওয়ামী সাঙ্গোপাঙ্গরা রাষ্ট্রিক সম্পর্কের নৈকট্য বলে প্রমাণ করতে চেয়েছে। ইউনূস বাইডেন ছবি নিশ্চয়ই তাদেরকে লজ্জা দিচ্ছে। শুধু ছবিই নয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে বাংলাদেশের বর্তমান সরকারকে পুরোপুরি সমর্থন করছে তার দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা এসেছে হোয়াইট হাউজ থেকে। শুধু তাই নয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য পাশ্চাত্যের সমৃদ্ধ দেশগুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সহায়তায় উদারহস্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সর্বাত্মক অর্থনৈতিক সমর্থনের প্রতিশ্রæতি দিয়েছে। বাংলাদেশের বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে প্রফেসর ইউনূসের মিশন এভাবেই সতত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। ঘটনাক্রমে বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘ স্বীকৃতির অর্ধশতাব্দী উদযাপনের সময়কাল। বাংলাদেশ নতুনভাবে পুনর্গঠিত হতে যাচ্ছে- সমৃদ্ধির পথে ও ন্যায়ের পথে, বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের পক্ষ থেকে বিশ্বসভায় সেই শপথ উচ্চারিত হয়েছে প্রফেসর ইউনূসের নেতৃত্বে।

লেখক : অধ্যাপক, সরকার ও রাজনীতি বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
Mal55ju@yahoo.com

dainikamarbangla

সর্বশেষ খবর

হাইলাইটস

বিশেষ সংবাদ