মুলাদীতে পাওনা টাকা চাওয়ায় মো. রবিউল (১৯) নামে এক তরুণকে অপহরণের পরে জোরপূর্বক বিয়ে ও আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সেলিমপুর (প্যাদারহাট) এলাকার কুদ্দুস বেপারীর বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
রবিউল বাটামারার পূর্ব তয়কা গ্রামের আমছের সিকদারের ছেলে। তিনি গত ১৮ আগস্ট ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেলিমপুর লঞ্চঘাট থেকে নিখোঁজ হন।
রবিউলকে পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে অপহরণের পরে কুদ্দুস বেপারীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দিয়ে আটকে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন তার বাবা আমছের সিকদার। লোকজন নিয়ে ছেলেকে উদ্ধারের পরে মঙ্গলবার বিকালে আমছের সিকদার বাদী হয়ে কাজীসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মুলাদী থানায় অভিযোগ করেছেন।
আমছের সিকদার জানান, তার ছেলে রবিউল ঢাকার জিনজিরা এলাকায় বিরিয়ানির ব্যবসা করে। পাশাপাশি ব্যবসা করার সুবাদে কুদ্দুস বেপারীর জামাতা সজিব সরদার কয়েক মাস আগে রবিউলের থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা ধার নেয়। ওই টাকা চাইতে গেলে সজিব টাকা ফেরত না দিয়ে টালবাহানা শুরু করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, গত ১৮ আগস্ট রবিউল ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সেলিমপুর লঞ্চঘাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়। ছেলের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে ছেলের সন্ধান পেতে ব্যর্থ হন। সোমবার গভীর রাতে রবিউল একটি মোবাইল দিয়ে ফোন দিয়ে তার অবস্থান জানায়। পরে স্থানীয় লোকজন নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কুদ্দুস বেপারীর বাড়ি থেকে অসুস্থ অবস্থায় রবিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি।
রবিউল জানান, ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে সজিব সরদার টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সেলিমপুর প্যাদারহাটে ডেকে নেয়। সেখান থেকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সজিবের শ্বশুর কুদ্দুস বেপারীর বাড়িতে নিয়ে যায়। ওই বাড়িতে কুদ্দুস বেপারীর তালাকপ্রাপ্ত মেয়ে সানিয়ার সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়া হয়। পরে মারধর করে সেখানে আটকে রাখে।
এ ঘটনায় আমছের সিকদার বাদী হয়ে মঙ্গলবার বিকালে কুদ্দুস বেপারী, তার স্ত্রী সেলিনা বেগম, জামাতা সজিব সরদার, মেয়ে সানিয়া এবং স্থানীয় কাজী হুমায়ুন মাস্টারসহ ৮ জনের নামে মুলাদী থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, তরুণকে জোরপূর্বক বিয়ে ও আটকে রাখার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।