ঢাকা: উন্নত চিকিৎসার জন্য ডিসেম্বরেই লন্ডন যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের কোনো একদিন তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে পারেন। লন্ডনে বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় বিরতি দিয়ে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যাবেন বিএনপি চেয়ারপারসন। দলের নির্ভরযোগ্য সূত্র মানবজমিনকে জানিয়েছে, দলের চেয়ারপারসনের বিদেশ যাত্রার যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। চিকিৎসা সুবিধাসংবলিত বিমান ভাড়ার বিষয়ও প্রায় চূড়ান্ত। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার জন্য গতকাল তিনি আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন। দলের নেতারা জানিয়েছেন দ্রুতই এই ভিসা মিলবে বলে তারা আশা করছেন।
বুধবার দুপুরে দূতাবাসে গিয়ে বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট দেন খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন এ বিষয়ে বলেন- ম্যাডামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেতে হতে পারে। সেজন্য আজকে উনি বায়োমেট্রিক ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়েছেন। এসময় দূতাবাসের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতসহ দূতাবাসের কর্মকর্তারা বিএনপি চেয়ারপারসনকে দূতাবাসে স্বাগত জানান। তার সঙ্গে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার এবং চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক মোহাম্মদ মামুন উপস্থিত ছিলেন।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, কিডনি, ডায়াবেটিকস সহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। দীর্ঘদিন থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তার চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড মাল্টি ডিসিপ্লিনারি সেন্টারে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছে। এ ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব নয়। তাই তাকে যুক্তরাষ্ট্রে নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
সর্বশেষ ২০১৭ সালের ১৬ই জুলাই যুক্তরাজ্যে যান খালেদা জিয়া। ওই বছরের ১৮ই অক্টোবর দেশে ফেরেন তিনি। সেই সময় খালেদা জিয়া যুক্তরাজ্যের ডা. হ্যাডলি ব্যারির চিকিৎসা গ্রহণ করেন।