ফ্রান্সের পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার। ফলে ক্ষমতায় আসার মাত্র তিন মাসের মধ্যেই পতন হচ্ছে মিশেল বার্নিয়ে সরকার। বুধবার (৪ ডিসেম্বর) পার্লামেন্টের ৫৭৭ সদস্যের মধ্যে ৩৩১ জন বার্নিয়েরের সরকারের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। শিগগিরই তিনি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে বিশেষ ক্ষমতাবলে বিতর্কিত বাজেট বিল পাস করে তোপের মুখে পড়েন ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ে। এমপিদের ভোট ছাড়াই বিল পাস করায় প্রধান বিরোধী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছিল।
১৯৬২ সালের পর প্রথমবারের মতো অনাস্থা ভোটে দেশটির সরকার পতন হয়েছে। এ ঘটনা ফ্রান্সের রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। কেননা গত গ্রীষ্মে আগাম নির্বাচনের পর ফরাসি পার্লামেন্টে কার্যত কোনো গোষ্ঠীরই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই।
বুধবারের এই ভোটাভুটিতে সংসদ সদস্যদের হয় হ্যাঁ ভোট দিতে হতো বা বুধবারের ভোট থেকে বিরত থাকতে হতো। প্রস্তাবটি পাসের জন্য ২৮৮ ভোট প্রয়োজন ছিল। তবে মোট ৩৩১ জন এই প্রস্তাবের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন।
অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার পর বার্নিয়ের সরকার পদত্যাগ করতে বাধ্য এবং যে বাজেট তার পতনের সূত্রপাত করেছিল তাও এখন নিষ্ক্রিয়। তবে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ উত্তরসূরি বেছে নেয়া পর্যন্ত তিনি তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকতে পারেন।
গত সেপ্টেম্বরে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী পদে ৭৩ বছর বয়সী মিশেল বার্নিয়েকে নিয়োগ দেন প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। বার্নিয়ে দেশটির বর্ষীয়ান রাজনীতিক। তিনি ব্রেক্সিট বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রধান মধ্যস্থতাকারী ছিলেন।
ভোটের আগে বার্নিয়ার ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিকে বলেছিলেন, তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলে দেশের আর্থিক সমস্যার সমাধান হবে না।
সূত্র : বিবিসি