মালিকপক্ষ শ্রমিকদের দাবি মেনে নেয়ায় আজ বুধবার সকাল থেকে খুলেছে সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুর এলাকার প্রায় সব পোশাককারখানা। এ বিষয়ে শ্রমিকরা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় তারা বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন। এখন দাবি মানায় খুশি তারা। আশা করছেন, শান্তিপূর্ণভাবে এখন সবাই কাজ করতে পারবেন।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪) সচিবালয়ে চলমান শ্রমিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মালিক ও শ্রমিকপক্ষের মধ্যে বৈঠক হয়। এরপরও অস্থিরতা তৈরি হলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
আশুলিয়ার শিল্প পুলিশ ১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বিবিসিকে বলেছেন, শিল্পাঞ্চল এক, অর্থাৎ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইতে প্রায় ৮০০টি পোশাক কারখানা আছে। সেগুলোর মাঝে ১১টি পোশাককারখানা শুধু বন্ধ আছে, বাকি কারখানাগুলো খোলা।
মূলত, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে সাভার, আশুলিয়া এবং গাজীপুরের কারখানায় ন্যূনতম মজুরি পুনর্নির্ধারণ, শ্রম আইন সংশোধন, ইনক্রিমেন্ট চালুসহ ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ শুরু হয়।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের শ্রম ও কর্মসংস্থান, স্বরাষ্ট্র, শিল্প এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত চারজন উপদেষ্টা, পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবিতে শ্রমিক-মালিক ঐকমত্য হয় এবং দাবি বাস্তবায়নে সম্মত হওয়ার বিষয়ে একটি যৌথ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, ধীরে ধীরে শ্রমিকদের সব ন্যায্য দাবি পূরণ করা হবে।
প্রতিমুহূর্ত/নীল/আল-আমিন