আপনার খুদে সদস্যটি প্রায়ই পড়তে তো বসছে কিন্ত সমস্যা হল, পড়ায় মন নেই৷ তাই পরীক্ষায় নম্বরও মোটেও বেশি হচ্ছেনা৷ তাহলে? তা বলে বাচ্চাকে মারধর করবেন না৷ কয়েকটা কারণে সমস্যা হয়৷ আপনিও তাকে একটু বোঝার চেষ্টা করুন৷ তা হলেই দেখবেন আস্তে আস্তে সমস্যা অনেকটা মিটছে৷ দেখে নিন বাচ্চার মনঃসংযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷
একগাদা পড়ালেখা একসঙ্গে দেবেন না৷ এতে শিশুর মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটে৷ সে বিরক্ত হয়৷ তার চেয়ে অল্প অল্প করে পড়া করতে দিন৷ একটা হয়ে গেলে আবার একটা দিন এতে শিশুর উপর অহেতুক চাপও তৈরি হবে না৷
সন্তানের জন্য একটা টাইম টেবিল তৈরি করুন৷ সেখানে কেবল পড়াশোনার সময় রাখবেন না৷ খেলাধুলো, টিভি দেখা সব কিছুরই সময় রাখুন৷ এতে বাচ্চার পড়াশোনার প্রতি মনো সংযোগ বৃদ্ধি পায়৷
শিশুকে কেবল পড়াশোনা করতে বললেই হবে না৷ বরং বাড়িতেও পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করে ফেলুন৷ নিজেও সারাক্ষণ মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকবেন না৷ বরং একটা ম্যাগাজিনও পড়তে পারেন৷ এতে শিশু আপনাকে দেখে পড়ার প্রতি কিছুটা হলেও আগ্রহী হবে৷
সন্তানের প্রচেষ্টাকেও কখনও প্রশংসা করুন৷ তার রেজাল্ট খারাপ হলে, তাকে বকাবকি না করে, আগের চেয়ে যদি ভাল হয়, তার প্রশংসা করুন৷ তাতে সন্তান আরও ভাল করার অনুপ্রেরণা খুঁজে পাবেন৷
আমরা অনেকসময় পড়াশোনার চাপের কারণে বাচ্চাদের গান, নাচ, আঁকা ছাড়িয়ে দিন৷ তা করবেন না৷ পড়াশোনার বাইরে এই ধরনের কর্মকাণ্ডে তাঁরা সৃজনশীল হয়ে ওঠে৷ পড়াশোনার বাইরে এই ধরনের জগত আদতে মনঃসংযোগ তৈরিতে সাহায্য করে৷
বাচ্চাদের কোনও প্রশ্ন থাকলে, তার নিবারণ করুন৷ অনেক সময় দেখা যায়, খুদেটি একাধিক প্রশ্নে জেরবার হয়ে মা-বাবারা তাকে থামিয়ে দেয়৷ এতে বাচ্চার আগ্রহ কমে যায়৷ তা না করে তার সঙ্গে কথা বলুন৷ কোনও কারণে, সেই সময় উত্তর দিতে অস্বামর্থ্য হলে সেটিও তাকে বোঝান৷ এতে খুদে সদস্যটিরও আগ্রহ বজায় থাকবে৷ অজানাকে জানার নেশাতেও দেখবেন, সে বই খুলে বসেছেন৷