বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর পটপরিবর্তন হয় বাংলাদেশের বিভিন্ন স্তরে। দীর্ঘদিন ছাত্রলীগের নির্যাতন ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের চাপের কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে রাজনীতি করতে পারেনি ইসলামী ছাত্রশিবির।
হাসিনার পতনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি সাদিক কায়েম প্রকাশ্যে আসার পর সেক্রেটারি ৯ দফার পরিকল্পনাকারী এস এম ফরহাদকে পরিচয় করিয়ে দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদের। এর পর থেকে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন থেকে দাবি উঠে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশের।
এবার সেই পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করেছে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবির। বুধবার (২ অক্টোবর) ঢাবি শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে তালিকা প্রকাশের কথা জানান।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক লোক প্রশাসন বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের মহিউদ্দিন খান, প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের হোসাইন আহমাদ জুবায়ের, ছাত্র আন্দোলন ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের মো. মাজহারুল ইসলাম, অফিস সম্পাদক ফুটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের ইমরান হোসাইন, বায়তুল মাল সম্পাদক তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১৫-১৬ সেশনের আলাউদ্দিন আবিদ, দাওয়াহ ও ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক আরবি বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের হামিদুর রশিদ জামিল।
কমিটিতে সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের নুরুল ইসলাম নূর, বিজ্ঞান ও ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের মো. ইকবাল হায়দার, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক হিসেবে সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের মো. আনিছ মাহমুদ ছাকিব, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক হিসেবে আইন বিভাগের ১৭-১৮ সেশনের রিয়াজুল মিয়া, ব্যবসায় শিক্ষা ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের হাসান মোহাম্মদ ইয়াসির, স্কিল ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হিসেবে অর্থনীতি বিভাগের ১৯-২০ সেশনের আব্দুল্লাহ আল আমিন দায়িত্ব পেয়েছেন।
কমিটির বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি সাদিক কায়েম বলেন, অন্যান্য সংগঠনের মতো করে আমাদের কমিটি হয় না। এজন্য আমাদের কমিটিতে সদস্য সংখ্যা কম মনে হতে পারে। ছাত্রদের নীতি নৈতিকতা, স্কিল ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের জন্য আমাদের বিভিন্ন বিভাগ রয়েছে। সেই বিভাগগুলো আমাদের কার্যক্রমগুলো তদারকি করে থাকে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের কমিটিটি জানুয়ারিতেই গঠিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের নির্যাতন নিপীড়নের কারণে আমরা তা পাবলিকলি প্রকাশ করতে পারিনি। ২৪ এর ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং শহীদদের আত্মত্যাগের ফলে দেশ ফ্যাসিবাদের মুক্ত হয়েছে এবং আমরা আমাদের অধিকার ফিরে পেয়েছি।