মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: গত তিনদিন ধরে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর ও জুড়ী উপজেলার বটুলি শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে লোকসান গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এতে করে সীমান্তের কাছে রাখা রপ্তানিযোগ্য পণ্য পাঠাতে না পরলে কোটি টাকার ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর থেকে মৌলভীবাজার সীমান্তবর্তী ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরে বিক্ষোভ করে আসছেন ইসকন সদস্যরা। বুধবার বিকেলে তারা চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেন। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই চাতলাপুর শুল্ক স্টেশন দিয়ে আর কোনো মালবাহী গাড়ি চলাচল করতে পারেনি। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুই দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। একইভাবে জুড়ী উপজেলার বটুলি সীমান্তেও বন্ধ করে দেওয়া হয় শুল্ক স্টেশন থেকে ভারতে প্রবেশের সড়ক।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, গত বুধবার বিকেলে ভারতের কৈলাশহরে ইসকন সদস্যদের বাধায় হঠাৎ করেই ভারতের দিকে চাতলাপুর শুল্ক স্টেশনের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে বাংলাদেশ থেকে মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ রয়েছে। একই সঙ্গে ভারত থেকেও কোনো মালামাল আসছে না। বিষয়টি সমাধানের জন্য দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে।
চাতলাপুর এলসি স্টেশনের ব্যবসায়ী সমিতির সেক্রেটারি সোহেল রানা চৌধুরী বলেন, আমরা অপ্রস্তুত ছিলাম। বুধবার প্রায় দেড় কোটি টাকার মালামাল আটকে যায়। ভারতে অনেক মাছসহ কাঁচা পণ্য পাঠানো হতো, কিন্তু হঠাৎ করেই বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে পড়েছি।
কাস্টম এজেন্ট ব্যবসায়ী রুবেল আহমদ বলেন, শুক্রবার পর্যন্ত চেষ্টা করেছি। কিন্তু মালামাল রপ্তানি করতে পারিনি। কোটি টাকার মাছ ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। যদি শনিবারের মধ্যে রপ্তানি না করতে পারি তাহলে কোটি টাকার লোকসানে পড়বো।
সিলেট কাস্টমস বিভাগের উপ-কমিশনার মমিনুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ প্রান্তে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ভারতের অংশে রাস্তা বন্ধ। সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।