চলতি বছরের নভেম্বর মাসে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৬৩ শতাংশ। এ মাসে রপ্তানি আয় বেড়ে ৪১১ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত বছরের নভেম্বর মাসে আয় হয়েছিল ৩৫৬ কোটি ডলার। গতকাল বুধবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো প্রকাশিত রপ্তানি হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বরে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১১.৭৬ শতাংশ এবং ওই সময় আয় হয়েছে এক হাজার ৯৯০ কোটি ডলার, যা আগের বছর ছিল এক হাজার ৭৮১ কোটি ডলার।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-নভেম্বর সময়ে তৈরি পোশাক থেকে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১২.৩৪ শতাংশ এবং আয় হয়েছে এক হাজার ৬১১ কোটি ডলার, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল এক হাজার ৪৩৪ কোটি ডলার। নভেম্বর মাসে পোশাক খাতে আয় বেড়েছে ১৬.২৫ শতাংশ এবং আয় হয়েছে ৩৩০ কোটি ডলার, যা গত বছর ছিল ২৮৪ কোটি ডলার।
অন্যান্য প্রধান রপ্তানি পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় ৭.৬১ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ কোটি ৬৩ লাখ ডলার, যা গত বছর ছিল ৪৩ কোটি ৩০ লাখ ডলার।
কৃষি ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে রপ্তানি আয় হয়েছে ৪৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা গত বছরের তুলনায় ৮.৩৪ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল থেকে আয় হয়েছে ৩২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২০.৭৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্যে থেকে আয় হয়েছে ৩৪ কোটি ১৭ লাখ ডলার, প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৬৮ শতাংশ।
চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যে রপ্তানি আয় কমলেও ফুটওয়্যার (চামড়াজাত ব্যতীত) রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২১ কোটি ৭৮ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪.৪৫ শতাংশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, এবার তৈরি পোশাক খাতে মোট ৮১ শতাংশ হিস্যা ছিল। এ ছাড়া বড় দিন ক্রিসমাস, ব্ল্যাক ফ্রাইডে ও থ্যাংকস গিভিংকে ঘিরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।
কমেছে বাণিজ্য ঘাটতি
এদিকে আমদানির সঙ্গে রপ্তানি বাড়ায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ১৩.২৭ শতাংশ; অর্থের হিসাবে ৮৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
গতকাল বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যালান্স অব পেমেন্ট (বিওপি) সংক্রান্ত প্রতিবেদনে জুলাই-অক্টোবরের যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বাণিজ্য ঘাটতি ৬৬৫ কোটি ডলার দেখানো হয়েছে। গত অর্থবছরে যা ছিল ৭৫৪ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৬৩ কোটি ডলার।